নারগিস সোমা
এক বাড়ি আরেক বাড়ি,
চিকন চিকন গলি,
গলিতে লোহার খাঁচার বেড়ি-বন্ধন,
লোহার ওপর ধুলিকণার আবরণ,
নিঃশ্বাস বন্ধ ধুলিকণায়,
দরজা জানালা খোলার বৃথা চেষ্টা,
চেষ্টা চলে অবিরাম, বাঁচার চেষ্টা,
নাকি মরে যাবার ভয়?
নতুনের আগমনের কান্নার শব্দ মধুর লাগে
অপরদিকে গমনে কান্নার শব্দ ভারী করে তোলে চারিদিক
একই কান্নার কত রুপ,
কারো কান্নায় মন গলে,
কারো কান্নায় ঘর ভাঙ্গে।
নতুন গাছের চারার জন্ম হয়
অন্যের মরণের বার্তা নিয়ে,
কিছু বার্তা সুখকর কিছু কষ্টের।
মানুষ নিজের জন্য বাঁচার সময় পায় অল্প
অন্যের জন্য অফুরন্ত।
সেই অন্যই ভুলে যায়,
তাকে সময়ের ব্যাবধানে,
বিচিত্র জীবন প্রনালী।
জীবের ভেতরে মানুষ পড়ে,
গরুর জীবন প্রণালী সহজভাবে লেখা যায়।
কিন্তুু অপর দিকে সেই একই জীব
মানুষের জীবন প্রণালী লেখার সাধ্য আছে কার?
মানুষের মানুষের যেমন রং- এর প্রকার ভেদ আছে
তেমনি আছে স্বভাবের।
কারো স্বভাব আপনার পছন্দ কারো নয়,
কেও আপনার জন্য পরিবর্তন হবে না,
যেমন হবেন না আপনি,
এরই মাঝে চলতে হয়
ভালোবাসার মুখোশ পরে সবাইকে,
আজকাল কারো সামনে আসলে
বুকের শব্দ শুনতে পাইনি,
তাই বলে পৃথিবী শব্দহীন হয়ে পড়েনি,
অনেক শব্দের মাঝে নিজের শব্দগুলো
হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত,
খুঁজতে গেলে আরো হারিয়ে যায়।
যত্নের অভাবে সজীবতা কেবল বৃক্ষ হারায় না,
সব কিছুই মলিন হয়ে যায়,
ভেতরের ক্ষত-এর চেয়ে বাইরের মুখোশধারী মুখের সুন্দর্য
অনেক বেশি আকর্ষণীয় এখন সবার কাছে।
কোন কিছু বলা কঠিন,
সহ্য করার ক্ষমতা সবার থাকে না,
যার ধারণ ক্ষমতা কম তার শেষ কিসে?